Uninon Budget’ শব্দটি মূলত ভারত সরকারের বার্ষিক আর্থিক বিবৃতিকে বোঝায়। এটি সাধারণ বাজেট নামেও পরিচিত।
সংবিধানের 112নং অনুচ্ছেদের অধীনে, 1লা এপ্রিল থেকে 31শে মার্চ পর্যন্ত চলা প্রতিটি আর্থিক বছরে ভারত সরকারের আনুমানিক প্রাপ্তি এবং ব্যয়ের একটি বিবৃতি সংসদে পেশ করা হয় ।
“বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি” বা “Annual Financial Statement” নামের এই বিবৃতিটি হল মূল বাজেটের নথি।
ভারতের কেন্দ্রীয় বাজেট, বা বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি, প্রধানত তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত
- Consolidated Fund
- Contingency Fund এবং
- Public Account
ভারতের Consolidated Fund হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অ্যাকাউন্ট। সরকার কর্তৃক প্রাপ্ত রাজস্ব এবং এর দ্বারা করা ব্যয় (ব্যতিক্রমী কযেকটি items ছাড়া), Consolidated Fund এর অংশ। মূলত সংসদের অনুমোদন ছাড়া এই তহবিল থেকে কোনো Fund withdrawn করা যাবে না।
এর নাম থেকে বোঝা যায় যে এটি একটি জরুরী ব্যবহারের জন্য তহবিল। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং যেকোনো জরুরী অবস্থা মোকাবিলার জন্য অর্থের প্রয়োজন তা এই তহবিল থেকে যায় । বর্তমানে সংসদ কর্তৃক অনুমোদিত Contingency Fund এর corpus এখন 30,000 কোটি টাকা।
পাবলিক অ্যাকাউন্টের মধ্যে এমন কিছু fund অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা সরকারের অন্তর্গত নয় এবং কোনো কোনো সময় বা নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষর কাছে জমা করা সেই অর্থ ফেরত দিতে হয়। সরকার একটি “ব্যাঙ্কার” হিসাবে কাজ করে, উদাহরণস্বরূপ বলা যায় provident funds, ক্ষুদ্র সঞ্চয় সংগ্রহ, এবং অন্যান্য আমানত ইত্যাদি সম্পর্কিত লেনদেন করাই প্রধান কাজ।
দেশের অর্থনৈতিক নীতি গঠনে কেন্দ্রীয় বাজেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। এটি সরকারের priority গুলি তুলে ধরে, বিভিন্ন খাতে সম্পদ বরাদ্দ করে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য নীতি নির্ধারণ করে।
এটি আমাদের জানতে সাহায্য করে যে সরকার গত বছরে কতটা revenue collect করেছে এবং আগামী financial yearএ কতটা ব্যয় করতে পারবে ।
- Revenue Budget
- Capital Budget
Revenue Budget মূলত ভারত সরকারের প্রাপ্ত আয় এবং সেই আয় কতটা ব্যবহার করে ব্যয় করা যাবে তা নিয়ে গঠিত। Revenue Budgetএ সরকারের কাছে যে উৎস থেকে আয় হচ্ছে সেই সম্পর্কে বিবরণ দেয়।
এই অংশটি সরকারের মূলধন প্রাপ্তি এবং ব্যয়ের সাথে সম্পর্কিত। মূলধন প্রাপ্তি বলতে – যেমন বিনিয়োগ, ধার নেওয়া, সরকারী বা বিদেশী সরকার থেকে ঋণ নেওয়া ,RBI ইত্যাদি। এছাড়া মূলধন ব্যয়ের ক্ষেত্রে – যেমন রাস্তার উন্নয়ন , infrastructure, স্বাস্থ্য সুবিধা ইত্যাদির ক্ষেত্রে উন্নয়নে ব্যয় করা।
Budget policy নীতি বলতে equity বা surplus বাজেট চালানোর সরকারি প্রচেষ্টাকে বোঝায়। এর উদ্দেশ্য হল সরকারি ঋণ কমানো।
এটি fiscal policy এর মতো নয়, এটি অর্থনীতিতে fiscal stimulus হিসেবে কাজ করে ,এছাড়া Tax এর redistribution এবং যেকোনো ভাতার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার সাথে সম্পর্কিত। সরকার এই policy মূলত গ্রহণ করে আসন্ন Budget প্রণয়নের সময়।
বাজেট নীতি নির্ধারণ করা হয় সরকারের আয় এবং ব্যয় পরিকল্পনার মাধ্যমে এবং আগামী চার বছরে প্রত্যাশিত national ও international অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে।
সরকার যখন কোনো কার্যভার গ্রহণ করে তখন প্রকৃত অর্থে তা যতদিন চলবে তার পুরো মেয়াদের (চার বছর পর্যন্ত হতে পারে ) অর্থ ব্যয় নির্ধারণ করে। এই ব্যয়গুলি প্রধানত তিনটি খাতের সাথে যুক্ত : কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রণালয়, সামাজিক নিরাপত্তা এবং তার যত্ন।
কেন্দ্রীয় সরকারের খরচের বৃহত্তর অংশ Tax থেকে finance করা হয়। সামাজিক নিরাপত্তা এবং তার যত্ন করার জন্য খরচের অংশ বেশিরভাগটাই প্রধানত বিভিন্ন অনুদান থেকে finance করা হয় (যেমন বেকারত্ব বীমা এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে বীমার জন্য ব্যয়)।
- বিভিন্ন Taxes ( যা আয়ের প্রধান উৎস);
- প্রাকৃতিক গ্যাসের থেকে আয় ;
- বেসরকারী উদ্যোগে রাষ্ট্রীয় হোল্ডিং থেকে আয়/লাভ;
- জরিমানা বা Fines।
Basically Financial stability আসে মূলত একটি বাজেটের মাধ্যমে। প্রতিটি সরকারের কাজ করার জন্য বাজেটের প্রয়োজন। এই Budget এর তৈরীর মাধ্যমেই স্থির হয় যে কিভাবে বিভিন্ন খাতের মধ্যে public funds গুলি বরাদ্দ করা হবে। সহজভাবে,আসলে বাজেট একটা রোড-ম্যাপের মতো কাজ করে যা সরকারকে তার উদ্দেশ্য পূরণের জন্য কীভাবে তার আয়ের সংস্থান গুলি বরাদ্দ করতে হবে সে সম্পর্কে একটা Basic Direction দেয়।
- Balanced Budget
- Surplus Budget
- Deficit Budget
একটি Balanced budget মানে আশানুরূপ আয়ের সাথে প্রত্যাশিত একটা ব্যয়ের তাল মেল রেখে চলা। এককথায়, একটি Balanced budget এর উদ্ভব তখনই হয় যখন সরকারের প্রত্যাশিত ব্যয় সেই নিদিষ্ট financial year এর প্রত্যাশিত মোট আয়ের সাথে মিলে যায়। অনেক classical Economists দের এই দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, “সাধ্যের মধ্যে জীবনযাপন” ধারণার উপর জোর দেওয়া উচিত। তারা বিশ্বাস করেন যে, একটি সরকারের ব্যয় তার আয়ের ক্ষেত্রে আয়নার মতো হওয়া উচিত।
এই বাজেট পদ্ধতির লক্ষ্য হল অর্থনীতিতে সামঞ্জস্য বজায় রাখা, আর্থিক শৃঙ্খলাকে মেনে চলা, অত্যধিক ঋণ গ্রহণ প্রতিরোধ করা এবং সুদের জন্য অর্থপ্রদানের বোঝা কমানো। তবে , অর্থনৈতিক মন্দা বা মুদ্রাস্ফীতির সময়, একটি Balanced budget কখনোই অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার নিশ্চয়তা দিতে পারে না। Theotically অনুমান করা ব্যয় এবং আয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা সহজ, কিন্তু বাস্তবে, এটি করা খুবই চ্যালেঞ্জিং।
একটি Balanced budget এর গুণাবলী:
- অর্থনৈতিক stability নিশ্চিত করে, যদি সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়।
- নিশ্চিত করে যে সরকার অযৌক্তিক ব্যয় থেকে বিরত থাকবে।
Balanced budget এর ত্রুটি`:
- মন্দার সময়ে অব্যবহারযোগ্য এবং বেকারত্বের মতো সমস্যার কোনো সমাধান দেয় না।
- স্বল্পোন্নত দেশে প্রযোজ্য নয় কারণ এটি অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সুযোগকে সীমিত করে দেয় ।
- সরকারকে জনকল্যাণে ব্যয় করতে বাধা দেয়।
ই বাজেটে আনুমানিক সরকারি আয় আনুমানিক সরকারি ব্যয়ের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। এটি রাষ্ট্রের পাবলিক ঋণ কমাতে বা সঞ্চয় বাড়াতে কাজ করে। মুদ্রাস্ফীতির সময়ে, একটি সরকার সামগ্রিক চাহিদা কমাতে এবং অর্থনৈতিক stability আনার জন্য এই বাজেটের ধরনকে বেছে নিতে পারে। এটি budget management, বিচক্ষণতার সাথে সম্পদ বরাদ্দ এবং ধার ছাড়াই ভবিষ্যতের প্রকল্পে বিনিয়োগের জন্য দেশের পরিকাঠামোকে তুলে ধরে।
বৈশিষ্ট্য:
- অর্থনৈতিক মন্দার সময় অনেক কিছু cover up হিসেবে করার কাজ করে।
- বিদ্যমান ঋণ পরিশোধে সাহায্য করতে পারে।
এই বাজেটের ক্ষেত্রে আনুমানিক সরকারের আয় সরকারের প্রদত্ত ব্যয়ের চেয়ে কম হয় ।তবে Deficit Budgetএর বেশকিছু সুবিধাও রয়েছে যেমন- এটি অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে stimulate করে, infrastructure গুলিতে investment করতে বা গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনগুলিকে সমাধান করতে সহায়তা করতে পারে।
ভারতের মতো দেশগুলির জন্য ক্রমশ আর্থিক বিকাশের জন্য প্রচেষ্টা করার ক্ষেত্রে এই ধরনের Financial বাজেটগুলি খুবই উপকারী হিসেবে প্রমাণিত হয়। ব্যয় বৃদ্ধি করে, একটি সরকারের demand বাড়ায়, এবং এইভাবেই অর্থনৈতিক বিকাশকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলে । এই বাজেটের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে employment generete করার ক্ষেত্রে, ফলস্বরূপ পণ্য এবং পরিষেবার চাহিদাও বৃদ্ধি পায়।
Deficit Budget এর গুণাবলী:
- অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে বেকারত্বের মতো বিষয়ে জনসাধারণের উদ্বেগ মোকাবেলায় সহায়তা করে।
- সরকারকে জনকল্যাণে ব্যয় করতে সক্ষম করে।
Deficit Budget এর ত্রুটি:
- সরকার কর্তৃক অযৌক্তিক খরচ করাবৃদ্ধি পেতে পারে।
- এ ক্ষেত্রে ঋণ জমা হলে সরকারের উপর বোঝা বৃদ্ধি পায়।
- Fiscal Deficit মোট আয় এবং ব্যয়ের প্রাপ্তি নির্ণয় করে, এছাড়া loans ও advance গুলি পুনরুদ্ধার করা এবং loan এর বাইরে মূলধন জোগাড় করার মধ্যে পার্থক্য তৈরী করে।
- Revenue Deficit আয় ও ব্যয়ের মধ্যে তারতম্য বজায় রাখে।
- Primary Deficit রাজস্ব উপাদানের অধীনে ''Interest Payments এবং Debt Servicing'-এর Primary Deficit এর প্রধান component।
- Budget Deficit মোট ব্যয় এবং মোট আয়ের প্রাপ্তির মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করে এবং monetization এর সময় মোট আয় ও ব্যয় শূন্য হতে হবে। monetization routesগুলির ক্ষেত্রে সরকারের কোনও access থাকে না এবংসেই ক্ষেত্রে Budget deficit zero হওয়া উচিত।
- Miscellaneous Capital Receipts (MCR) non-debt capital receipts হিসাবে গণ্য করা হয়।
- Finance Bill এ নতুন taxes এর জন্য আরোপ করা, existing tax এর কাঠামোর পরিবর্তন বা আইনসভা দ্বারা অনুমোদিত সময়ের বাইরে existing tax কাঠামো অব্যাহত রাখার জন্য সরকারের প্রস্তাবগুলি follow করা।
কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের জন্য রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি এবং মন্ত্রিপরিষদ গঠিত হয় এবং রাষ্ট্রপতিকে সাহায্য ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রধান ভূমিকা পালন করে ।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই তিনটি শাখা বিভিন্ন দায়িত্বের সাথে যুক্ত, কিন্তু সংবিধানও পরস্পরের ওপর নির্ভরতার ন্যায্য মাত্রা মূল্য দেয় ।
Leave a Reply